এমন কিছু তথ্য আপনাদের জানাব, পড়লে মনে হবে অবাস্তব। কিন্তু বাস্তবে এই ঘটনাগুলো ঘটেছিল বা এখনও ঘটে। সেরকমই অবাক করে দেওয়া এক ডজন তথ্যে চোখ বুলি্য়ে নিন।
১। জানেন, মাইক নামে একটি মোরগ মাথা কাটা যাওয়ার পরেও দেড় বছর বেঁচে ছিল। ১৯৪৫ সালে আমেরিকার কলোরাডো শহরে ঘটনাটি ঘটেছিল। লয়েড অলসেন নামে ওই মোরগটির মালিক সন্ধের খাবার খাওয়ার জন্য ওই মোরগটির মুণ্ডচ্ছেদ করতে যান। কিন্তু বরাতজোরে মাথার একাংশ এবং নলিতে কোপ পড়েনি। মাথার অর্ধেক বাদ চলে গেলেও প্রাণে বেঁচে যায় সাড় পাঁচ মাসের মোরগটি। ব্যস, ‘মিরাকেল মাইক’ হয়ে যায় ওই মোরগটি। অনেকেই এই ঘটনা বিশ্বাস করেনি। শেষ পর্যন্ত সত্যতা প্রমাণ করতে মুণ্ডবিহীন ওই মোরগটিকে নিয়ে সোজা উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন তার মালিক। মুণ্ডবিহীন অবস্থায় ১৮ মাস বেঁচেছিল ওই মোরগটি। এখনও কলোরাডো শহরে ‘মাইক, দ্য হেডলেস চিকেন ডে’ বলে মে মাসে একটি দিন বিশেষভাবে উদযাপিত হয়।
২। ১৯৩২ সালে অস্ট্রেলিয়ান সেনাদের সঙ্গে এমু পাখিদের যুদ্ধ বেধেছিল। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। যুদ্ধে অবশ্য শেষ পর্যন্ত এমু পাখিরাই জিতেছিল। আসলে বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়া আটকাতে এমু নিধনে নেমেছিল অসি সেনা। কিন্তু কাজের কাজ খুব একটা হয়নি। ২০০৭ সালে ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৪টি কাঠবিড়ালিকে গ্রেফতার করা হয়। সরকারিভাবে ইরান সরকার একথা স্বীকারও করেছিল। তাদের দাবি, কাঠবেড়ালিগুলির দেহে অত্যাধুনিক কিছু সরঞ্জাম লাগিয়েছিল বিদেশি কোনও সংস্থা। কিন্তু দেশের গোয়েন্দাদের কাছে আগেভাগে সেই খবর থাকায় কাঠবেড়ালিগুলিকে ধরা সম্ভব হয়।
৩। দেশলাইয়ের আগে লাইটার আবিষ্কার হয়েছিল।
৪। চাঁদ থেকে পৃথিবীতে ফিরেছেন। তাতে কী? আইন আইনের পথেই চলবে। তাই চাঁদ থেকে ফেরার পরে নীল আর্মস্ট্রংকে শুল্ক এবং অভিবাসন দফতরে যথারীতি পরীক্ষা করা হয়েছিল।
৫। জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করার জন্য গ্রে কেমেন ম্যাচ ডট কম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ক্লেমেনের দুর্ভাগ্য, তাঁর স্ত্রী ম্যাচ ডট কমে আলাপ হওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গেই পালিয়ে গিয়েছিলেন।
৬। সৌদি আরবকে অস্ট্রেলিয়া থেকে উট আমদানি করতে হয়! কারণ, ইদের সময়ে দেশের উটের মাংসের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে।
৭। আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘ দেখে ভুল ধারণা তৈরি করবেন না। মেঘ অতটাও হাল্কা নয়। একটি মেঘের ওজন সাধারণত ১.১ মিলিয়ন পাউন্ড হয়। যা একশোটি হাতির ওজনের সমান।
৮। যেদিন আবিষ্কার হয়েছিল, আর যেদিন গ্রহের তকমা হারিয়েছিল, সেই সময়ের মধ্যে সূর্য্যকে একবারও প্রদক্ষিণ করতে পারেনি প্লুটো।
৯। হ্যাপি বার্থডে গানটির কিন্তু কপিরাইট আছে। এই কপিরাইটের মালিক ওয়ার্নার/চ্যাপেল মিউজিক কোম্পানি। কপিরাইট মূল্য ৫ মিলিয়ন ডলার।
১০। বৃহস্পতি গ্রহে নাকি হিরের বৃষ্টি হয়। দুঃখের বিষয়, ইচ্ছে করলেও আপনার স্ত্রীকে সেখানে পাঠাতে পারবেন না!
১১। চার্লি চ্যাপলিনের মতো সাজতে হবে। এমন একটি প্রতিযোগিতা চার্লি চ্যাপলিন নিজেই হেরে গিয়েছিলেন। কে জিতেছিল, তাঁর নামটা অবশ্য জানা যায়নি।
১২। ঈগল পাখিরা মাঝআকাশে উড়তে উড়তেই প্রজনন করে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন