টাইটানিক সিনেমাটির কথা একবার স্মরণ করে দেখুন। বাস্তব কাহিনীকে কেন্দ্র করে নির্মিত ওই ছবির শেষ দৃশ্যে ছবির নায়ক জ্যাক একটা কাঠের ওপর রোজকে রেখে নিজে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন।
এ তো গেল ছবির কথা, বাস্তবে জাহাজডুবির পর ঠিক ওইরকম পরিস্থিতিতেই ঠান্ডা জলের মধ্যে ভেসেছিলেন আর. নরিস উইলিয়ামস।
১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক ডুবির রাতে জাহাজডুবির পর তিনি ভেসে ছিলেন বরফ গলা অসম্ভব ঠান্ডায়। শেষ অবধি উদ্ধারকারী দল একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে নরিসকে বাঁচিয়ে ডাঙায় নিয়ে যায়। টাইটানিক ডুবির পর অসহ্য বরফগলা আটলান্টিকের জলে তিনি তার পায়ের চেতনা শক্তি হারিয়েছিলেন। ডাক্তাররা বলেছিলেন, তার পা দুটো কেটে বাদ দিতে হবে। নরিস রাজি হননি। বলেছিলেন, ‘আমি ঠিক সুস্থ্য হয়ে যাব।’
আস্তে আস্তে কঠোর পরিশ্রম শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র টেনিস ওপেন বা ইউএস ওপেনে নামেন নরিস। মজার ব্যপার হলো তিনি শুধু খেলায়ই অংশগ্রহণ করেননি; হয়েছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
নরিস বলেছিলেন, ‘টাইটানিকের সেই দুর্ঘটনায় ঈশ্বর আমায় বাঁচিয়ে দিয়েছিল। নিশ্চয়ই তার কোনও কারণ ছিল। তাই আমি কারণটা খুঁজে বের করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তা খুঁজে পেলাম।’
দুবার ইউএসওপেন চ্যাম্পিয়ন, উইম্বলডন সেমিফাইনালিস্ট নরিস মারা যান ১৯৬৮ সালে। মারা যাওয়ার সময় নাকি তিনি বলেছিলেন, ‘আমায় আর বাঁচিও না।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন